আজ || শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটানোর ঘটনায় ১৬ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ       গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটিয়েছে সন্ত্রাসীরা; গ্রেফতার ১০       গোপালপুরে প্রধানমন্ত্রীর ফেয়ার প্রাইজের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ       গোপালপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ       উত্তর টাঙ্গাইল নূরানী মাদরাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন       গোপালপুরে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত       গোপালপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু ও নারী নিহত       গোপালপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির সংবর্ধিত    
 


চুলবাল নিয়ে নয় ভুলবাল; রক্ষীবাহিনীর খাঁচায় একদিন

✍অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন✍

প্রথম পর্বে চুলের বাড়বাড়ন্তের চুলচেরা বিশ্লেষণের যৎকিঞ্চিত অনুঘটনার বিবরণ ছিল। আজ দ্বিতীয় এ পর্বে দীর্ঘ চুলের প্রত্যক্ষ বিড়ম্বনা ও পরোক্ষ স্বস্তির প্রাসঙ্গিক বিষয় অবতারণার ইচ্ছা।

করোনাকালে আমার মতো গৃহবন্দী মানুষের চুল-দাড়ির যেমন আধিক্য, তেমনি বাহাত্তর সাল জুড়ে লম্বা চুল-দাড়ি-গোঁফ মানেই যুদ্ধজয়ী বীর মুক্তিসেনা। সে সময় মুক্তিপ্রাপ্ত নাটক-সিনেমায় নজর দিলেই বাহারী চুলের হাজারো নটবর চোখে পড়বে।

তেহাত্তর সাল জুড়ে দাড়ি-চুল-গোঁফের সাথে জুলফীর দুরন্ত ফ্যাশন তরুণদের যাদুমন্ত্রের মতোই আকর্ষণ করে। আমাকেও পেয়ে বসে সেই চলতি হাওয়ার ফ্যাশান। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় মিত্রবাহিনীর শিখসেনা যারা মুক্তিবাহিনীর সাথে কাঁধ মিলিয়ে বর্বর পাকিস্তানী আর্মির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, সেই শিখ বাবুদের প্রশ্বস্ত মুখাবয়বে চাঁদের মতো বাঁকানো গোঁফ আমাকে বিমোহিত করে। অতঃপর তাদের মতো ওষ্ঠাধারে গোঁফ সাজানোর খেয়ালে ক্ষুর-কাঁচি বর্জন শুরু করি।

বাহাত্তর-তেহাত্তর সালে হাট-বাজারে বা ওষুধের দোকানে ইন্ডিয়ান মর্দনা হরবালের “বালপাকনা” জেলী পাওয়া যেতো। বোতলের গায়ে লেখা ছিল- ”এ জেলী মর্দনে মস্তিস্কের বাল/ কেশ ও গোঁফ শক্ত হয়, লম্বা হয়, কুঁচকুচে হয়”। প্রয়োগের নির্দেশিকায় বলা ছিল- ‘হাতের তালুতে জেলী মিশিয়ে বালে ঘষতে থাকো, ঘষতে থাকো”।

যখন হাতের তালু বা আঙ্গুল গরম হবে তখন ক্ষান্ত দেবে। কোর্স চার বোতল। মর্দনকাল ছয় মাস। ভোরে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে নিদ্রার আগে বেলজিয়াম আয়না সামনে বিছিয়ে “বালপাকনা” জেলীতে হাত কঁচলিয়ে গোঁফে মাখতাম। তারপর যতক্ষণ না ঠোটে জ্বালাপোড়া ধরতো, ততক্ষণ ঘষতাম, আর ঘষতাম।

সকাল-বিকাল এ ঘষাঘষির অবিশ্রান্ত দৃশ্য একদিন মা জননীর নজরে এলো। জিজ্ঞেস করেন, ‘বাবা তুই ঠোটের উপর অনবরত কি ঘষিস? উত্তর প্রস্তুতই ছিল। বললাম, ”আম্মা এটি মক্কা হুজুরের জৈতুন তেল। মক্কা হুজুর ফুঁ দিয়ে পড়ে দিয়েছেন। এটি মুখে ঘষলে বরকত হবে। বরকতের জেরে মুখ দিয়ে মিথ্যা জবান বেরুবে না।”

মা জননী কতোকক্ষণ স্নেহভরা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। যেমন করে প্রতিটি মা আদুরে সন্তানের সাফল্যে সহাস্য বদনে তাকান। হয়তো ভেবে নিলেন তার যুধিষ্ঠীর ছেলে এবার সত্যকথনের প্রতিবিম্ব হতে যাচ্ছেন। ফুঁদাতা মক্কা হুজুরের রেফারেন্স টানায় তিনি যে অকপটে পুরোটাই বিশ্বাস করবেন সেটা আগেই জানা ছিল।

আসলে মক্কা হুজুরের প্রকৃত নাম গফুর মুন্সি। পড়ালেখায় কেতাব পাশ। পাঁচ দশটি মুখস্ত সুরায় খৈ ফোটাতেন। দশবারোটি হাদিস কন্ঠস্ত ছিল। ইয়াসিন সুরায় নাকি জ্বীন তাড়াতেন। পাশের গ্রাম মাহমুদপুরে বাড়ি। কামেল কবিরাজ বলে মশহুর ছিলো। আমার স্বর্গীয় জননী তাকে খুবই শ্রদ্ধা-ভক্তি করতেন। এলাকার সবার কাছে ছিলেন গফুর হুজুর।

তবে তার কামেলিয়াতে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিলনা। সর্বক্ষণ মক্কার গল্প রসিয়ে রসিয়ে বয়ান করে বেড়াতেন বলে ডাকতাম মক্কা হুজুর। মক্কা হুজুরের এমন ভক্ত হওয়া দেখে মা জননী মুগ্ধ হলেন। পাঁচ-ভাইবোনের সংসারে তখন আমাকেই বেশি ভরসা আর বিশ্বাস শুরু করেন তিনি।

তবে সকাল-বিকাল স্বস্নেহে তিনি হেদায়েত করতে থাকেন, ”বাবা নাটক, সিনেমা, যাত্রা বাদ দে। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া শুরু কর।” মায়ের মন রক্ষায় ফজরের নামাজ পাড়ার মসজিদে পড়তাম। আর সারাদিন নামাজের সাথে মোলাকাত করতাম না।

বলা অনাবশ্যক, স্বাধীনতার পর নিজ গ্রামে “চাতুটিয়া নাট্য সংঘ” নামে একটি বিনোদন সংগঠন গড়ে ছিলাম। দু’মাস পর তা থেকে একটি করে নাটক মঞ্চত্ব করতাম। লম্বা-চুল গোঁফ থাকায় ভিলেন চরিত্র ছিল অামার জন্য নির্ধারিত।

যাই হোক, মা জননীর এ স্নেহ অামাকে বাড়তি সুযোগ এনে দেয়। দশ টাকা খরচে তিরিশ টাকা ভাওচার দিতে থাকি। সিনেমা, নাটক, যাত্রা নিয়ে ভালোয় ভালোয় দিন যেতে থাকে। এর মধ্যে কিংস্ট্রক মার্কা সিগারেট মুখে গোজা আরম্ভ করলাম। বেঁচে যাওয়া টাকায় “বালপাকনা” জেলী ঘষে ঘষে শিখ স্টাইলের গোঁফ তৈরি অব্যাহত রাখলাম।
লম্বা কেশ, জুলফী আর চাঁদের মতো বাকানো গোঁফকে মানুষ তখন সমীহ করতো। প্রকারান্তরে ভয়ও করতো। ভয়ের কারণটা দু’লাইনে বলাই যাক।

একাত্তরে মুক্তি সেনারা জীবন উৎসর্গের পণ নিয়েই অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে নামেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার বছর খানেক পর তাদের মোহমুক্তি ঘটে। অনেকেই বেকারত্বে দুর্বিসহ জীবনযাপন শুরু করেন। সরকার তাদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ভাতার ব্যবস্থা করেননি। রক্ষীবাহিনী আর পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ছাড়া কোনো সেক্টরে চাকরির ব্যবস্থাও ছিলনা।

বঙ্গবন্ধু সরকার তখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু দলের লোকেরা আখের গোছাতে শুরু করেন। তেহাত্তর সালের বন্যার পর রিলিফ কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিন্তু সেই ত্রাণ যেতে থাকে সরকারি দলের স্বার্থান্বেষী নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উদরে।

অাজ ২০২০ সালে চতুর্দিকে যেমন আওয়ামীলীগার ছাড়া কিছু চোখে পড়েনা। তখনো ঠিক এমনই লীগ ভক্ত আর নেতায় দেশ ছেঁয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর মুখে উচ্চকিত সেই বিখ্যাত সাহসী উক্তি “সাড়ে সাত কোটি কম্বল আনলাম আমারটা গেল কই অথবা দেশ স্বাধীন করে অন্যরা পাইছে সোনার খনি, আমি পাইছি চোরের খনি” সগৌরবে ফোকাস হয়েছিল।

তেহাত্তর সালের গোড়া থেকেই এলাকায় এলাকায় বেদম চুরি-ডাকাতির প্রাদুর্ভাব ঘটে। অার এ অপকর্মে যারা যুক্ত হন তাদের অধিকাংশই ছিলেন বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধা, নয়তো তরুণ-যুবা। যাদের অধিকাংশের ছিল লম্বা জুলফী, বাঁকানো গোঁফ নয়তো কাঁধঅবধি দোলানো চুল।

গ্রামগঞ্জের এমন বাসিন্দাদের একটি অংশ যোগ দেন নবগঠিত রাজনৈতিক দল “জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল” বা জাসদে। তাদের চোখেমুখে তখন ছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দুর্জয় স্বপ্ন। আওয়ামীলীগের দুর্নীতিপরায়ণ ও স্বেচ্ছাচারি নেতাদের বিরুদ্ধে ছিল প্রচন্ড ক্ষোভ। এ ক্ষোভ থেকেই বুর্জোয়া শ্রেণি খতমে গঠিত জাসদের গণবাহিনীতেও যোগ দেন অনেকেই। আর তা ভিন্ন অাঙ্গিকে শুরু হয় খুনখারাপী।

শেষ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র নামের যে অশ্বডিম্ব নিয়ে জাসদ মাঠে নেমেছিল সেই ডিম মানুষ খায়নি। জাসদ নিজেও খেতে পারেনি। মাঝখানে শাস্তি পেয়েছিল অামার মতো সৌখিন চুল গোঁফওয়ালারা। সেই কাহিনীটা নিন্মরুপ।

৭৪ সালের ডিসেম্বর। কলেজ থেকে বাইসাইকেলে ফিরছি। গোপালপুর থানার কোনাবাড়ী বাজারে অাসা মাত্রই সাপ্তাহিক হাটে একটা হুলস্থুল। প্রাণান্তকর দৌড়াদৌড়া। ভয়ার্ত ছুটাছুটি। শুনলাম জাসদ অথবা গণবাহিনীর কর্মীরা হাটে ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে রক্ষীবাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন। আর এখন রক্ষীবাহিনী দুবৃর্ত্তদের দ্রুত ট্রেস করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে টহল বসিয়েছেন।

গোপালপুর থেকে অামার গ্রাম চাতুটিয়ায় অাসতে পালপাড়া মোড়ে এমন একটি চেকপোস্ট বসিয়েছিলেন রক্ষীবাহিনীর একটি দল। কাছাকাছি অাসতেই রক্ষীবাহিনীর এক সদস্যের কড়া ইশারায় সাইকেলসহ নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়ালাম। অামার মতো অারো চারপাঁচজনকে সন্দেহজনক কারণে অাটকে রাখা হয়েছিল।

তাকিয়ে দেখলাম যাদের মাথার গোঁফ-চুল-জুলফী লম্বা শুধু তাদেরকেই বেছে বেছে অাটকানো হচ্ছে। হাটে যারা দুটি রাইফেল লুটে নিয়েছিল, তারা নাকি লম্বা চুল অার গোঁফাধিকারী।

ঘন্টাখানেক পর রক্ষীবাহিনীর একটি ট্রাক এলো। হ্যান্ডকাপ পরিয়ে সেটিতে করে নেয়া হলো গোপালপুর থানায়। গাড়ি থেকে নামানোর সময় সবাইকে চুল ধরে নামানো হচ্ছিলো। কিন্তু অামাকে চুল ধরে নামানোর পর গোঁফে হেঁচকা টান দেয়া হলো। একগুচ্ছ গোঁফ ছিড়ে গেল। গলগল করে রক্ত বেরুলো। প্রচন্ড ব্যাথায় কোঁকড়াতে লাগলাম।

এরপর সাতজনকে থানা হাজতে ঢুকানো হলো। এ সময় রক্ষীবাহিনীর সম্ভবত এক হাবিলদারের সাথে ওসি অাহমেদ অালী ছিলেন। অামাদের লক্ষ্য করে ওসি বলতে থাকেন “কুত্তার বাচ্চারা লম্বা লম্বা চুল অার গোঁফ রাখিস। চুরি-ডাকাতি করিস। শালারা তোদের পাছার পশম অাজ তুলে ফেলবে।” খিস্তিতে যোগ দিলেন রক্ষীবাহিনীর কয়েক সদস্য।

গোপালপুর থানা বলতে তখন একটি টিনশেড় ঘর। তবে হাজতখানা ছিল পাকা। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী অবাঙ্গালী পুলিশকে হত্যার পর থানার অস্ত্র লুটে নেন। থানার টিনের ঘরটিও পুড়িয়ে দেন। দেশ স্বাধীন হবার পর থানায় যে নতুন ঘর তৈরি হয়, সেটির হাজতেই সেদিন অামাদের রাখা হয়েছিল। অার হাজতখানার পাশেই ছিল প্রস্রাবখানা। যার দুর্গন্ধে হাজতখানায় টেকা দায় ছিল।

রাত অাটটায় সাদেকুল নামে রক্ষীবাহিনীর এক মেজর থানায় এলেন। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন। সাথে মারপিটও চললো। তাদের চিৎকার হাজতখানা থেকে আমি স্পষ্ট শুনছিলাম। এদের মধ্যে কালিহাতীর চাড়াল গ্রামের রফিক স্বীকারোক্তি দিলেন। তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে রক্ষীবাহিনীর গাড়িতে উঠানো হলো অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানের জন্য।

অামার বেদশার খবর পেয়ে সহপাঠী এবং মামা মাহমুদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন থানায় হাজির। একাত্তরে তিনি কাদেরীয়া বাহিনীর হুমায়ুন বাঙ্গালের সাথে যুদ্ধ করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তোফাজ্জল রক্ষীবাহিনীতে সিপাহী হিসাবে যোগ দেন। নোয়াখালীর হাতিয়ায় জব করতেন মেজর সাদেকুলের সঙ্গে। কোনো অভিযোগ না থাকায় থানা পুলিশের সাথে ফরমালিটি শেষ করে, অামাকে মুক্ত করে নিয়ে যান তোফাজ্জল। থানা কম্পাউন্ডের পিতলের রিং বেলে রাত দশটার ঘন্টা বাজলো। থানা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ির পথে পা বাড়ালাম। কিন্তু গল্পের শেষটুকু না বললেই নয়।

যে তোফাজ্জল অামাকে সেদিন থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অাসেন, তিনি ১৯৭৫ সালে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে বন্দী হন। পরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে কথিত বিচারে কয়েক শতাধিক সেনার সাথে তাকেও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যূদন্ড দেয়া হয়। এমনকি তার লাশ পরিবারকে ফেরত দেয়া হয়নি।

হত্যার ছয় মাস পর ঢাকাস্থ সেনা সদর দপ্তরের এক অফিসিয়াল পত্রে তোফাজ্জলের বৃদ্ধ বাবা মোহাম্মদ অালীকে জানানো হয়, তোফাজ্জলকে রাস্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গুলি করে মৃত্যূদন্ড দেয়ার কথা। পত্রে আরও জানানো হয়, তার পরিবার একটি কানাকড়িও পাবেন না।
সেনা সদরের সেই চিঠি বুকে নিয়ে তার বাবামা কতো যে কেঁদেছেন! অনেক শোক আর কষ্ট নিয়ে তারা কয়েক বছর অাগে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের অাত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

??লেখক পরিচিত :
সিনিয়র করোসপন্ডেন্ট, দৈনিক ইত্তেফাক। সভাপতি, গোপালপুর প্রেসক্লাব। সম্পাদক, গোপালপুর বার্তা।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!